উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অচলাবস্থা ভাঙার লক্ষ্যে জাতিসংঘের কপ ২৬ সম্মেলনে দরিদ্র দেশগুলোকে অনুদান হিসেবে আরো হাজার হাজার কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যে শুরু হতে যাচ্ছে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৬তম সম্মেলন। আশা করা যাচ্ছে, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিবে।
দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি অনুদান দেওয়ার প্রস্তাবটি সম্মেলনের আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জার্মানি ও কানাডার মন্ত্রীরা উপস্থাপন করবেন। জলবায়ু অর্থায়নের পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব ছিল এই তিন দেশ।
গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে এবং চরম আবহওয়ার প্রভাব মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে অন্তত এক লাখ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধনী দেশগুলো। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রতিশ্রুত সেই অনুদান পায়নি দরিদ্র দেশগুলো। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র আট হাজার কোটি ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরিত দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি।
কপ ২৬ সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মা।
তিনি বলেছেন, ‘উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই প্রতিবছর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১০ হাজার কোটি ডলার দিতে হবে। এটি একটি টোটেমিক চিত্র, বিশ্বাসের বিষয়, এবং জলবায়ু আলোচনায় বিশ্বাস হচ্ছে কষ্টে জেতা ও ভঙ্গুর পণ্য।’