করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধ মলনুপিরাভির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের দিনে দু’বার এই বড়ি সেবন করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে মলনুপিরাভির নামের ওষুধটি সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য আশা জাগানো ফল দেখিয়েছে। এই বড়ি সেবনের ফলে অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। এখন থেকে যুক্তরাজ্যের মানুষ ঘরে বসেই করোনার চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিশ্বে আমরাই প্রথম দেশ হিসেবে জীবানুনাশক ট্যাবলেটের অনুমোদন দিলাম।’
যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানিয়েছে, এই ট্যাবলেটটি এমন লোকেদের ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যাদের মৃদু থেকে মাঝারি কোভিড রয়েছে। এছাড়া স্থূলতা, বার্ধক্য, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো গুরুতর একটি রোগ যাদের আছে তারাও এ ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি পাবেন।
যুক্তরাজ্য সরকার নভেম্বরে ওষুধের প্রত্যাশিত প্রথম ডেলিভারিসহ আরো ৪ লাখ ৮০ হাজার কোর্স কিনতে সম্মত হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে একটি জাতীয় সমীক্ষার মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্ত এবং টিকাবিহীন রোগীদের উভয়কেই মুখে খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হবে। এছাড়া ওষুধটির আরো অর্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর কার্যকারিতার অতিরিক্ত ডেটা সংগ্রহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক শার্প অ্যান্ড ডমে (এমএসডি) ও রিডজেব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস যৌথভাবে তৈরি করেছে মলনুপিরাভির নামের মুখে খাওয়ার ওষুধটি।
তাদের করা পরীক্ষায় এই ওষুধ আশা জাগানো ফলাফল দেখা যায়। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা যায় মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে স্বক্ষম হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থার কাছেও মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে বলে এমএসডি জানিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি