অফিসের নির্ধারিত সময় শেষ তবুও কাজের জন্য কর্মীকে কল, ই-মেইল বা টেক্সট করার ঘটনা অহরহ ঘটে। বাড়তি কাজের জন্য বসদের এমন আচরণ বন্ধ করতে নতুন আইন করছে পর্তুগাল।
দেশটিতে কর্মীদের পক্ষে একটি বড় আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এতে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পর কর্মীর সঙ্গে কোম্পানি বা বসের কর্মসংক্রান্ত যোগাযোগকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আইন অমান্যকারীদের জন্য জরিমানার ব্যবস্থাও হয়েছে।
করোনা মহামারির সময়ে অনেকেই বাসা থেকে অফিসের কাজ সামলেছেন। ‘নিউ নরম্যাল’ জীবনেও তা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন পর্তুগাল সরকার। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের চাপের মধ্যে রাখেন। তারা নির্ধারিত কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পরও কর্মসংক্রান্ত বিষয়ে কর্মীদের কল, টেক্সট বা মেইন পাঠিয়ে থাকেন। কাজ দেন, যা কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই আইনের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও কর্মীরা উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে।
পর্তুগালের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী আনা মেন্ডেস গোডিনহো বলেন, “করোনা মহামারির কারণে বাড়িতে থেকে কাজ করার বিষয়টি এখন একটি নতুন বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে দূরে থেকে কাজ (রিমোট ওয়ার্কিং) যতটা সম্ভব সহজ করা দরকার। এ ক্ষেত্রে নতুন আইনটি ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে।”
এখানেই শেষ নয়, আইন অনুযায়ী, কোনো কর্মী যদি ঘরে বসে কাজ করেন, আর সেজন্য তাকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিল পরিশোধ করতে হয়, সেক্ষেত্রে এর ব্যয় বহন করতে হবে তার প্রতিষ্ঠানকে। পাশাপাশি যদি কোনো কর্মী বাড়িতে বসে কাজ করেন তার ওপর কর্তারা নজরদারি করতে পারবেন না। এছাড়া কোনো কর্মীর সন্তানের বয়স আট বছর না হওয়া পর্যন্ত তিনি চাইলে বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ চাইতে পারবেন এবং কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে এটি দিতে হবে।
যাদের ১০ জনের বেশি কর্মচারী রয়েছে আইনটি সেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।