এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে (অ্যাপসা) সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন আজমেরী হক বাঁধন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট শহরে অ্যাপসা বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়।
অ্যাপসায় সেরা অভিনেত্রী বিভাগে বাঁধনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লিয়া পারসেল (দ্য ড্রোভারস ওয়াইফ: দ্য লিজেন্ড অব মলি জনসন), নিউজিল্যান্ডের এসি ডেভিস (দ্য জাস্টিস অব বানি কিং), ইসরায়েলের আলেনা ওয়াইভি (এশিয়া) এবং রাশিয়ার ভ্যালেন্টিনা রোমানোভা-চিস্কাইরি (পুগায়া)।
২৫টি এশিয়া প্যাসিফিক দেশের মোট ৩৮টি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পেয়েছিল। এরমধ্যে যৌথভাবে ‘জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ’ (উৎসবের দ্বিতীয় পুরস্কার) জিতে নিয়েছে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এবং অস্ট্রেলিয়ার সিনেমা ‘দ্য ড্রোভারস ওয়াইফ: দ্য লিজেন্ড অব মলি জনসন’।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘রেহানা মরিয়ম নূরের’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার। এ সময় এই প্রাপ্তির খবর জানান বাঁধন। উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী বলেন—‘আমার জন্য অবশ্যই এটা চমক ও আনন্দের ব্যাপার। এরকম একটা মর্যাদাসম্পন্ন অ্যাওয়ার্ডস থেকে একসঙ্গে দুটি পুরস্কার প্রাপ্তি ভাবা যায় না! তারচেয়ে বড় বিষয়, এই সুখবরটি পেলাম চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগের দিন। আমি মনে করি, এই অর্জন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের। তিনিই আমাকে রেহানা হিসেবে দর্শকদের সামনে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। নিজেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, এই দীর্ঘ পথে ধৈর্য্যের সঙ্গে হাঁটতে পেরে।’
একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে এ চলচ্চিত্রের গল্প। কর্মস্থলে ও পরিবারে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। কারণ, শিক্ষক, চিকিৎসক, বোন, কন্যা ও মা হিসেবে জটিল জীবনযাপন করেন তিনি। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন।
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের এই চলচ্চিত্র ৭৪তম কান উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়। পুরস্কার না জিতলেও দারুণ প্রশংসা কুড়ায় উৎসবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আগামীকাল সারা দেশে মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি।