দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এর বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর কিনা তা যাচাই করা প্রয়োজন। শুক্রবার যুক্তরাজ্য এমন তথ্য জানিয়েছে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লিসোথো ও এসওয়াতিনির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য।
নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে যোগাযোগমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, করোনা মহামারির শিক্ষা হচ্ছে আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, B.1.1.529 নামের ভ্যারিয়েন্টটি করোনাভাইরাসের আসল রূপটির চেয়ে ভিন্ন। বর্তমানে করোনার যেসব টিকা বিতরণ করা হচ্ছে এগুলো আসল রূপটির ওপর ভিত্তি করে উৎপাদন করা হচ্ছে। আর এ কারণেই B.1.1.529 নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
শ্যাপস বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা যেমন বর্ণনা করেছেন, (এটি) তাদের পরিচালিত গবেষণায় তারা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছেন।’
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কাজ করছে B.1.1.529 ভ্যারিয়েন্টটি। এটি বহুবার নিজের মধ্যে রূপান্তর ঘটাতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে হংকংয়ে এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে বলে শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।