দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েও ঠেকানো যাবে না মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) হংকংয়ের এক ভাইরাসবিদ এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এরপর এটি দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত ২৬ কোটি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫৪ লাখ। মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেয় ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টটি বহুবার মিউটেড বা রূপ পরিবর্তন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পুনঃসংক্রমিত করার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, হংকং, বেলজিয়াম ও ইসরায়েলে এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের ভাইরাসবিদ বেন কাউলিং বলেছেন, ‘বিভিন্ন স্থানে এই ভাইরাসটি সম্ভবত ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আমরা যদি এখন দরজা বন্ধ করি, তাহলে সম্ভবত অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ইতোমধ্যে শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে দুটি অঞ্চলে বহু মানুষ ক্রিসমাস উদযাপনে জড়ো হচ্ছেন। সেই হিসেবে সংক্রমণ বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে সেখানে।