জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. মো. বাকী বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে ওই জরুরি সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মুরাদকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে বাকী বিল্লাহ বলেন, তার (ডা. মুরাদ হাসান) দেওয়া অশালীন বক্তব্য আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। তাই জরুরি সভা করে তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। অব্যাহতিপত্রের অনুলিপি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া মুরাদকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় বাকী বিল্লাহ ও ফারুক আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
এদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ বলেছে, বুধবার মুরাদ হাসানের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের বৈঠক হবে। বৈঠকে তাকে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসনের এমপি। নিজের এলাকা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
মুরাদ হাসান সাম্প্রতিক সময়ে চরম আপত্তিকর, অশ্লীল মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। এছাড়া একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। সেখানে ওই নায়িকাকে অশ্রাব্য কথা বলতে শোনা যায়। এ নিয়ে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া কিংবা তার পদত্যাগের দাবি ওঠে।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মুরাদের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা জানান। এরপর মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ই-মেইলে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র আসে।