পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী বন্দি মুক্তি ও আলোচনা কমিটি গঠন না করার অভিযোগ তুলে চলমান অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) টিটিপির দেওয়া একটি বিবৃতিকে উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যম একথা জানায়।
আফগান তালেবান ও পাকিস্তান তালেবান দুটি পৃথক সংগঠন। পাকিস্তান সরকারকে উৎখাত ও নিজেদের ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে এই জঙ্গি সংগঠনটি। আফগানিস্তান তালেবান গত আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে। ওই ঘটনায় পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে টিটিপি চুক্তি নতুনভাবে গুরুত্ব পেতে শুরু করে।
টিটিপির দাবি, প্রতিশ্রুতি অনুসারে ১০০ বেশি বন্দি মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান সরকারের। তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনেরও কথা ছিল। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই করেনি পাকিস্তান সরকার। বরং চুক্তি কার্যকর থাকা অবস্থাতেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী টিটিপি’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
টিটিপি জানায়, এখন পাকিস্তানের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে টিটিপি নাকি তারা সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেবে। একই সঙ্গে জনগণকে এটিও ভেবে দেখতে হবে কারা চুক্তি মানছে না? এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রবিরতি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলা চালানোর মধ্যদিয়ে প্রথম আলোচনায় আসে টিটিপি। গত কয়েক বছর তাদের চালানো বোমা ও আত্মঘাতী হামলায় কয়েক হাজার বেসামরিক ও সামরিক লোকজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে পেশাওয়ারে অবস্থিত সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৪৯ জনকে হত্যা করে টিটিপির জঙ্গিরা। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৩২ জন শিশু ছিল। সূত্র: সিএনএন।