মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি এমন তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত টানা তিনদিন ভারি বৃষ্টিপাত হয় মালয়েশিয়ায়। এতে দেশটির আটটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। এই বন্যায় অনেক শহর ও গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরকে ঘিরে রাখা সেলাঙ্গর রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সম্পদশালী ও জনবহুল রাজ্য। শাহ আলম শহরের অনেক এলাকা মঙ্গলবারও পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা এবং বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া লোকজনকে নৌকায় করে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে দেরি করায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে মালয়েশিয়ার সরকার।
কার্তিক সুবরামানি নামে এক তরুণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা এটি। কেন্দ্রীয় সরকার জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্যর্থ হয়েছে…জীবনরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার যে প্রাথমিক কাজ রয়েছে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।’
বিরোধী দলের এমপি ফুজিয়াহ সাল্লেহ কর্মকর্মাদের তৎপরতাকে ‘নিরাশাজনক’ ও ‘অদক্ষ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘মুষলধারে বৃষ্টির কোনো আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক যে প্রাণহানি ঘটেছে।’