মহামারি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে সংক্রমণের পর রোগের তীব্রতা কম থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ধরনের উৎসস্থল দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছেন।
বুধবার ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মহামারি : ওমিক্রন এমনভাবে আচরণ করছে যা কম গুরুতর’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির সহলেখক অধ্যাপক চেরিল কোহেন বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমাদের সম্মিলিত তথ্য অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমণের পর রোগের তীব্রতা কমার ইতিবাচক গল্প জানান দিচ্ছে।’
অবশ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিক্যাবল ডিজিজের এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, কম গুরুতর ঘটনাগুলো সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়নি এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে অন্য দেশগুলোর ওমিক্রনের অভিজ্ঞতা একই রকম হতে পারে না।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গড় বয়স ২৭ দশমিক ৬ বছর। অথচ যুক্তরাজ্যে এই গড় ৪০ দশমিক ৫ বছর এবং করোনা মহামারির প্রথম আঘাত পাওয়া ইতালিতে বয়সের গড় ৪৭ দশমিক ৩ বছর।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিক্যাবল ডিজিজের ড. ওয়াসিলা জাসাত বলেন, ‘রোগের তীব্রতার নিম্ন ঝুঁকি বা নিম্ন অনুপাত আমরা চতুর্থ ঢেউয়ে দেখতে পাচ্ছি, যেখানে কিছু কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে- আগেই টিকা পাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা ভালো ছিল বা স্বাভাবিক সংক্রমণ ছিল বা ওমিক্রনের অন্তর্নিহিত ক্ষমতার কারণও হতে পারে।’