দীর্ঘ অপেক্ষার পর আয়েশা মালিককে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তানের বিচারিক কমিশন। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রথম নারী বিচারক পেল।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন বলছে, সুপ্রিম কোর্টে নারী বিচারকের নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল একটি পক্ষ। আরেক পক্ষ নারী বিচারক নিয়োগের পক্ষে ছিল। পাকিস্তানের হাইকোর্টের চতুর্থ জ্যেষ্ঠ বিচারক আয়েশা মালিককে নিয়ে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই আয়েশা মালিকের সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হওয়ার ছিল। কিন্তু ওই সময় পাকিস্তানের বিচারিক কমিশনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে তার নিয়োগ আটকে যায়। ওই সময় আট সদস্যের বিচারিক কমিশনের চারজন আয়েশার পক্ষে যায়। আর বাকি চার জন তার বিপক্ষে যায়।
কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তানের বার অ্যাসোসিয়েশন। তারা দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেয়। অনেকেই কাজ না করার হুমকি দেয়। তবে অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ আয়েশার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
এমন অবস্থায় আয়েশার বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) আবার বৈঠকে বসে বিচারিক কমিশন। সেই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের পক্ষে মত দেন পাঁচ জন। তবে চার জন তার বিপক্ষেই মত দেন।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর, দীর্ঘ ৭৪ বছরে কোনো নারী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের আসনে বসতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই আয়েশাকে দেশটির রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।