কখোনই কী তুমি দেখতে পাও-না আমাকে : আমি সঙ্গে
তোমার বরাবরই হাঁটি পায়ে-নিয়ে-এই-খেলনা পৃথিবী আর লাগিয়ে
গায়ে অনেকগুলি জোনাকি, ছুঁয়ে দেখবে-না আমাকে, তোমার
চোখের পাশে তারকার মতো জ্বলি …আর প্রতিদিনই জানালা
খুললে যে বনটা দেখতে পাও তুমি! বিশ্বাস করো সে-বনটা-ই
আমি…
(দুই)
কিছু জিনিস আমি দিয়েছি রেখে তোমারই জন্যে,
কিছু জিনিস নিয়ে আমি যাচ্ছি বেরিয়ে কবর হতে
কিছু জিনিস আরো গেল চলে আমার, – বেহাতে।
কিছু জিনিস দিয়েছি খেসারত আমি, সরাসরি; আর
কিছু জিনিশ রেখেছি আমি জমা আমার খোদারই
কাছে; অস্ত্রোপচারের মধ্যেও খুঁজে যাচ্ছিলাম অছিলা
ধরানোর জন্য একটি সিগ্রেট আমি… এটা কী অসম্ভব?
(তিন)
এমন একটি সময় আসবে শহরে,
যখন মানুষ আবাদ করার জন্য
চাষযোগ্য একখন্ড জমি পাবে না,
জমি পেলে কৃষক পাবে না।
অচিরেই এমন একটি দিন আসবে
যখন তুমি কেঁদে কেঁদে
আমাকে পাবে না
অবিশ্বস্ত পৃথিবী আমার।
(চার)
যথাযোগ্য আগুন
যথাযোগ্য বিষাদ
যথাযোগ্য বিষাদ
যথাযোগ্য আগুন
(পাঁচ)
তুমি পেরেছো…
একটি কবিতায় সম্ভব করতে আকাশ বিশদ ধারণাকৃত;
মানুষ রহস্যাতীত …দ্রিমিক দ্রিমিক
আটকাও তাকে পারলে তোমার কবিতায়?
(ছয়)
ঈশ্বরের এক চোখ
কিন্তু আমার অনেক
(সাত)
একজনকে
ভাঙতে
হবে
বাঁধ
একজনকে ভাঙতেই হয়
সে জোয়ারে ভেসে যাবে সব্বাই
(আট)
কার এতো বড় দুঃসাহস
মধ্যরাতে আমার
কাব্যশক্তি কেড়ে নিতে চায়?
(নয়)
কতজন কত কী দিল
দুটি পাখি, দুটি মেঘ, দুটি শক্সখ
আত্মবিশ্বাস, সুদূরে দ্বিতীয় শৈশব,
অথচ আমি তার কিছুই চাই নি।
আমি চেয়েছি কেবলই নিবিড়ভাবে
চেয়েছি, বিপণ্ণ বিপর্যস্ত করতলে
অফুরন্ত সময়ের সাহসী সম্ভাবনা।।