কাজাখস্তানে এক সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছে আরও পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারী। কাজাখ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক এমন তথ্য জানিয়েছে।
কাজাখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সহিংসতা চলাকালে যে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ১৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক লুটপাট হয়েছে এবং প্রায় ৪০০ গাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
স্পুৎনিক জানিয়েছে, সহিংসতা মোট ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। দেশটির প্রধান শহর আলমাতিতে নিহত হয়েছে ১০৩ জন। এই শহরটিতেই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইরলান তুরগুমবায়েভ বলেছেন, ‘আজ দেশের সব অঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য মোট পাঁচ হাজার ১৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভের ঘটনায় ১২৫টি পৃথক তদন্ত চলছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রোববার কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জেরে বুধবার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ। বিক্ষোভকারীরা এতেও শান্ত না হলে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রসিডেন্ট। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা সহযোগিতার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ জানান তোকায়েভ। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে কাজাখাস্তানে সেনা ইউনিট পাঠান পুতিন। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তোকায়েভ।