শিশুদের বেলায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশকে প্রভাবিত করে। শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের হার প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি। ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে বাতাসে উপস্থিত উপাদানগুলো শিশুদের জন্য আরো বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের (নতুন দিল্লি) রেসপিরেটরি মেডিসিনের সিনিয়র কনসালটেন্ট অনিমেষ আর্য বলেছেন, ‘বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শ্বাসযন্ত্র ছোট থাকে এবং করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি শুধুমাত্র রোগীদের ওপরের শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
নারায়না সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (গুরুগ্রাম) সিনিয়র কনসালটেন্ট তুষার তায়াল জানান, ওমিক্রন আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় শিশুদের বেশি প্রভাবিত করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুদের লক্ষণগুলো বড়দের মতোই (গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি)।
তায়াল বলেন, ‘আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। শিশুদের মধ্যে ওমিক্রনের উপসর্গ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে খুব একটা পৃথক নয়, যার মধ্যে রয়েছে কাশি, সর্দি, জ্বর ইত্যাদি। অভিভাবকদের উচিত যতটা সম্ভব, সন্তানদের বাড়িতে রাখা, কোভিড সংক্রান্ত সব ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করা। তাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা সংক্রমিত হলে তাদের শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পায়।’
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৬৭২ শিশু কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, যা মহামারিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংখ্যা।