কাজাখস্তানে এক সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৭ হাজার ৯৩৯ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটি মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতিবাদে গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলন শুরু করে কাজাখস্তানের জনগণ। সরকারের দমন নীতির কারণে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনটি সহিংসতায় পরিণত হয়। সে সময় বিক্ষোভকারীরা বেশকিছু সরকারি ভবন দখল ও তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে আন্দোলন শুরুর পর থেকেই কাজাখস্তান সরকার দাবি করে আসছে এ আন্দোলনের পেছনে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ এবং বিদেশিদের হাত রয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক প্রধান করিম মাসিমভকে আটক করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই মাসিমভকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে নিজের মন্ত্রী পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। এমনকি বিক্ষোভ দমনে তিনি গুলি চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। জারি করেছেন জরুরি অবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশিয়া এবং রাশিয়ার ব্লকে থাকা দেশগুলোকে কাজাখস্তানে সেনা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কাজাখস্তানে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকেই তা সহিংসতায় পরিণত হতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। তবে দেশটির সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ এতো সংখ্যক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়টি এখনো স্বীকার করেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইরলান কারিন সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীন ও কিছু বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র করছে।’ সন্দেহের তালিকায় কারা আছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সে বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।