নতুন বছরে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বিজয়ের কেতন উড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যদিও কদিন না যেতেই দেখতে হয়েছে মুদ্রার উল্টো পিঠ। কর্তৃত্ব দেখিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হার। তাতে কী, অধিনায়ক মুমিনুল হকের কাছে সিরিজ ড্র হওয়াটাই বড় কথা। সঙ্গে এটিও জানিয়েছেন, এখন থেকে দেশের বাইরে বাংলাদেশকে নিয়ে সবাই সতর্ক থাকবে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন ম্যাচ হারের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুমিনুল। বাংলাদেশের অধিনায়কের বিশ্বাস, এই সফরের পর বিদেশের মাটিতে প্রত্যেকের সমীহ পাবে তারা। মুমিনুল বলেছেন, ‘এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরো বাড়ল। সবাই আমাদের নিয়ে দেশের বাইরে একটু হলেও সতর্ক থাকবে পরবর্তী সিরিজগুলোতে। আমাদের এই চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে এবং মোমেন্টাম ধরে রাখতে হবে।’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের পাঁচ দিনই বাংলাদেশ শাসন করেছে। পঞ্চম ও শেষ দিন বাংলাদেশে ভোরের আলো ফোটার আগেই কিউইদের মাটিতে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে নতুন সূর্যোদয় হয়। বাংলাদেশ জয় পায় ৮ উইকেটে। আর শেষ টেস্টে অবশ্য কোনো লড়ায় করতে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তিন দিনেই ইনিংস ও ১১৭ রানে হেরেছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। সিরিজটি ড্র হয়েছে ১-১ এ।
নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে তাদের মাটিতে সিরিজ ড্র ছিল যেন রূপকথা। এর আগে কোনোদিন তাদের মাটিতে ড্রয়ের স্বাদ না পাওয়া বাংলাদেশ জয় নিয়ে এসে সেই রূপকথাকে যেন বাস্তবে পরিণত করলেন। মুমিনুলের কাছে এই সিরিজ ড্র বড় একটি অর্জন, ‘অবশ্যই এটা (১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র) আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। গত দুই বছর আপনারা জানেন, আমরা দেশের বাইরে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। কারণ আগে যেমনটা বলেছি অন্তত একটা ম্যাচ আমরা এখানে জিততে চাই।’
এবারেরটিসহ বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ খেলেছে ৬২ টেস্ট। শ্রীলঙ্কার মাটিতে একবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে দুটি করে ম্যাচ জিতেছে, সর্বসাকুল্যে জয় পাঁচটিতে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নিউ জিল্যান্ড। সব মিলিয়ে ১২৮ টেস্ট খেলে জয় ১৬টিতে, ড্র ১৭টিতে আর হার ৯৫টিতে।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে গাওয়া নতুন গানের সুর ধরে রাখতে পারবে তো বাংলাদেশ?