ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিয়োগ করা প্রায় দুই হাজার শিশু যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া এক বার্ষিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খররেও একই কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২০ সালে হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ১ হাজার ৪০৬ জন শিশু মারা গেছেন। এর ঠিক পরের বছর অথ্যাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে এই পাঁচ মাসে মারা গেছে আরো ৫৬২ জন শিশু।
বিশেষজ্ঞদের প্যানেলটি জানায়, হুথি বিদ্রোহীরা তাদের মতাদর্শ প্রচার করতে বিভিন্ন ক্যাম্প ও মসজিদ ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে শিশুদের নিজেদের পক্ষে লড়তে নিয়োগ দিয়ে চলেছে। এছাড়া সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর চালানো একের পর এক বিমান হামলায় প্রচুর সংখ্যক বেসামরিক লোকজন হতাহত হচ্ছে।
জাতিসংঘের চার সদস্যের গঠিত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল জানায়, তারা এমন একটি ক্যাম্প পেয়েছেন যেখানে শিশুদের অস্ত্র পরিস্কার করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে রকেট হামলা হলে কিভাবে বাঁচতে হবে সে কৌশল সম্পর্কেও শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
প্যানেলটি শিশুদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মসজিদ, ক্যাম্প ও স্কুলকে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। এরপরও যদি লড়াইরত কোনো পক্ষ এমনটি করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব করেছে।
২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ও রাজধানী সিনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেন সরকারকে সহযোগিতা করতে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। দুই পক্ষের লড়াইয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে আরো কয়েক লাখ মানুষ।
সূত্র: বিবিসি।