ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক চলাকালে উত্যপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকায় মস্কোর সেনা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড দাবি বলেন, রাশিয়া যেভাবে সেনা সমাবেশ ঘটচ্ছে এমন সামরিক প্রস্তুতি গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম দেখলো ইউরোপ।
এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। মূলত তারা সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পায়তারা করছে।
এদিকে ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে প্রথম থেকেই হুশিয়ারি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মার্কিন এক কর্মকর্তারা বলেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে ক্রেমলিনের ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা, ক্ষেপণাস্ত্র ও ভারী গোলাবারুদ মোতায়েন করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চালিয়ে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারের (১ জানুয়ারির) পর যে কোনো সময় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি