এশিয়ার ধনীদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন ভারতের আরেক শিল্পপতি, আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির বাজার মূলধনের ওপর ভিত্তি করে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হয়ে যান তিনি। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানিকে। যিনি ২০১৫ সাল থেকে এশিয়ার ধনীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়েনিয়ার ইন্ডেক্সের মোতাবেক, ৫৯ বছর বয়সী গৌতম আদানি এশিয়ার শীর্ষ ধনী হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮.৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় একাদশ স্থানে নেমে গেছেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত গৌতম আদানি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সেই তুলনায় মুকেশ আম্বানির ২ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
ইন্ডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, কেবল ভারত কিংবা এশিয়া নয়, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে।
মূলত মহামারি করোনাভাইরাস গৌতম আদানির জন্য শাপেবর হয়েছে। ২০২১ সালে তার সম্পত্তি ৪২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। গৌতম আদানির সম্পত্তি ওই বছর ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছিল।
মূলত ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২০ মাসে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ হু হু করে বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে সেটি ১৮০৮ শতাংশেরও বেশি।
আর এশিয়ার শীর্ষ ধনী হওয়ার পর থেকে শেয়ার বাজারে আদানি উইলমার শেয়ারের দামও বেড়েছে হু হু করে। বর্তমানে শেয়ার প্রতি সেটা ৩১৫.৯৫ টাকা।
উল্লেখ্য, গৌতম আদানিকে ‘সার্ভাইভার অব ক্রাইসিস’ বলা হয়ে থাকে। কলেজের গণ্ডি পেরুতে না পারা আদানিকে ১৯৯৮ সালে কিছু লোক অপহরণ করেছিল। ১৫ কোটি টাকার মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে মুম্বইতে হওয়া জঙ্গি হামলার সময় তিনি তাজ হোটেলেই উপস্থিত ছিলেন। হামলার সময় তিনি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন। কাছ থেকে নিজ চোখে জঙ্গিদের দেখেওছিলেন। এরপর তাজ হোটেলের বেসমেন্টে লুকিয়ে বেঁচে যাওয়া কয়েক’শ মানুষের মধ্যে তিনিও ছিলেন।