বলি, ‘ইয়েস, ফ্রেশ ফ্রম হেভেন।’
‘ইউ লাইকড্ হার?’
‘ইয়েস আই লাইকড্ হার ভেরী মাচ। শি ইজ এ্যাওফুল।’ বলে ওর দিকে আবার তাকালে মাথা নীচু করে।
এবার শুধায় মহিলা ‘ওকে, আই কাম নাও?’
‘হয়্যার?’
‘ইওর রুম।’
একটু চুপ থেকে বলি ‘নো আই এ্যম অলমোস্ট আউট। আর ইউ ইন ইওর রুম?’
‘ইয়েস।’
‘ওকে, আই এ্যাম কামিং দেয়ার। গিভ মি ইওর এ্যাড্রেস।’
বলে ‘শি নোজ।’
‘শি কান্ট রিমেমবার।’
মহিলা কিছু ভাবে। একটু ইতস্তত করে বলে ‘আই ক্যান কাম টু ইওর রুম ইন ফাইভ মিনিটস।’
‘বাট আই এ্যাম অলরেডী আউট।’
‘ওকে দেন। কাম।’ বলে ঠিকানা দেয়। পাঁচ তলায়। লিবার্টি লজ। রুম নম্বর সিক্স।
‘ওকে’ বলে ফোন রেখে দেই। তাকাই ওর দিকে। বোঝা গেলো খুবই টেনশনে। বুঝতে পারছে একটুপর কি অবস্থার মধ্যে গিয়ে পড়তে হচ্ছে আমাকে।
আর দেরী করা ঠিক না। বলি, আমি বেরুচ্ছি। মহিলা তোমার সাথে কথা বলতে চাইতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কেন গেলে না, আমার কথাতেই তো মানবে না। ওখান থেকে ফোন দিলে ধরবে।
ঘাড় নেড়ে সায় দেয়। এক ঝলক ওর দিকে তাকিয়ে পা বাড়াই। দরজার নবটা ঘুড়িয়ে খোলার আগে একবার ফিরি। ও অষ্ফুটে বলে ওঠে ‘আই এ্যম সরি। ইউ আর টেকিং সো মাচ ট্রাবল ফর মি।’
‘ইটস্ অল রাইট। টেক কেয়ার, বাই’ বলে দরজা খুলে বের হয়ে আসি। টেনে বন্ধ করে দেই। রিসেপশনে বলি, একটা মেয়ে আছে রুমে। আমি না ফেরা পর্যন্ত বা আমার অনুমতি ছাড়া কাউকে যেন রুমে যেতে না দেয়। শুধু রেস্টুরেন্টের ছেলেটা আসতে পারে খাবার নিয়ে। বিলগুলো যেন রেখে দেয়। আমি এসে দিয়ে দেবো। বলে, কোন সমস্যা নাই। তবে শুধায়, মেয়েটা যদি বাইরে যেতে চায়। স্মার্ট চায়নীজ। একটু ভেবে বলি, না সে বেরুবে না। তবে যদি বের হয় এবং কোথাও যেতে চায় সঙ্গে সঙ্গে আমাকে কল দেবে। মাথা নেড়ে সায় দেয়। বলে, নো প্রবেøম।
পাঁচ তলায় লিফট থেকে বের হয়ে বাঁ ধারে একটু এগোলেই লিবার্টি লজ। ছোট সাইনবোর্ডে ড্রাগন লতাপাতা আঁকা। মালিক চায়নীজ। মেইন গেট খোলাই ছিলো। ঢুকে সরাসরি চলে যাই ছয় নম্বর রুমের সামনে। দরজা বন্ধ ভেতর থেকে। বেল টিপলে খুলে দাঁড়ায় মহিলা।
বলি ‘গুড মর্নিং।’
সে কোন জবাব না দিয়ে আমার পেছনে খুঁজতে থাকে। নিশাকে খুঁজছে। না পেয়ে বিষ্ময়কন্ঠে শুধায় ‘হয়্যার ইজ শি?’
‘শি হ্যাজ নট কাম।’ নিরুত্তাপ কন্ঠে বলি আমি।
‘হোয়াট?’
আমি দরজা ছেড়ে রুমের ভেতরে গিয়ে দাড়াই। দরজাটা বন্ধ করি। ভয় হচ্ছিলো জেড়ে চীৎকার দিয়ে না এখানেই সিন ক্রিয়েট করে ফেলে।
এবার জোড়ে বলে ওঠে ‘হোয়াট ইউ সে?’
ধমকের সুরে বলি, চীৎকার করছো কেন?
একই স্কেলে বলে, নিশা কোথায়?
সে আসেনি।
আসেনি মানে! কোথায় এখন সে!
আমার রুমে।
তো তোমার রুম থেকে আসবে না কেন?
বলি, সেটা তো তুমিই ভালো জানো।
এবার চোখদু’টো ঘোলা হয়ে ওঠে মহিলার। বলে, কি করেছো তাকে?
আমি কিছুই করিনি। সে বলেছে তোমার এখানে থাকবে না।
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.