মেয়েদের হিজাব পরা কখনোই ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয় বলে রায় দিয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে কর্ণাটকের কয়েক জন মুসলিম ছাত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ অবস্থির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।
রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীরা কী পোশাক পরে আসবে, সেই বিধি নির্ধারণের পূর্ণ অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে। ভারতীয় সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে যে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার দেয়, হিজাব পরার বিষয়টি তার আওতায় পড়ে না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিবেচনা করছি যে, মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ নয়।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কর্ণাটক রাজ্যের রাজ্যের কুন্ডাপুর সরকারি পিইউ কলেজ হাইস্কুলে প্রথম হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এই কলেজের ছয় মুসলিম ছাত্রী অভিযোগ করেন, শুধু হিজাব পরার কারণে তাদেরকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্লাস করতে দেয়া হচ্ছে না। ওই কলেজের পরপর আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিজাব নিষিদ্ধ করে। অথচ কিছু কলেজে হিন্দু ছাত্ররা গেরুয়া শাল বা স্কার্ফ পরে ক্লাসে আসতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া স্কার্ফ পরা হিন্দুত্ববাদীদের সাথে সংঘাতও হয়। তখন অনলাইনে ভাইরাল হয়েছিলো একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিলো রাজ্যের এক কলেজে কালো বোরকা পরা এক মুসলিম ছাত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে শ্লোগান দিয়ে হয়রানি করছে একদল হিন্দুত্ববাদী তরুণ। ওই সময় ছাত্রীটি তাদের পাল্টা জবাব দিচ্ছেন ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান দিয়ে।