আবারো হঠাৎ করে বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলে বাড়তে শুরু করেছে মহামারি করোনা সংক্রমণ। শীত মৌসুম বিদায়ের পর নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য সংস্থাটি এক টুইটে জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিডের সংক্রমনের হার কমছিল। কিন্তু আবার পৃথিবীর নানা প্রান্তে কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু সেটি চিন্তার বিষয় নয়। চিন্তার বিষয় হল, ইতোমধ্যে কোভিড পরীক্ষার হার কমে গিয়েছে। ফলে এই যে কোভিড সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেটি পুরো ছবিটি নয়। পুরো ছবিটি আরো অনেক বড়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনে বাড়তে শুরু করে করোনার সংক্রমণ। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার এতোটাই বেশি যে, গত দুই বছরের মধ্যে চীনে এতো মানুষ দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়নি। চীনের বিশেষায়িত অঞ্চল হংকংয়েরও একই পরিস্থিতি। নগরীতে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, এখানকার হাসপাতালগুলোর মর্গে লাশ রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
এশিয়ার আরেকটি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়ও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশটিতে বুধবার নতুন করে ৬ লাখ ২২ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। করোনায় মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বুধবার দেশটিতে ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা এর আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১৪০ জন বেশি।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা টিকাকরণে ঢিলেমিকে দায়ী করেছেন। যাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল, তাদের টিকাদান ঢিলেমি হলেই বাড়বে করোনার সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান ও তথ্যের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, মূলত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের হার বাড়ছে। অবশ্য বুধবার ইসরায়েলে করোনার নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নতুন সংক্রমণের পেছনে ওমিক্রন ছাড়া অন্য কোনো ভ্যারিয়েণ্ট কাজ করছে কিনা তা জানতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।