রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ দেবে না ইউক্রেন। তবে এর বিনিময় মস্কোকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে হবে। মঙ্গলবার মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় কিয়েভ এমন তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের উদ্যোগে মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের এটি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। আলোচনা শুরুর আগে এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি ‘যুদ্ধের এই ট্রাজেডি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রধান অজুহাত ছিলো কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের উদ্যোগ। রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রেনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে। অর্থাৎ শুধু ন্যাটো নয়, কোনো ধরনের সামরিক জোটেই যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন।
আলোচনায় রাশিয়ার অধিগ্রহণ করা ক্রিমিয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ক্রিমিয়ার মর্যাদা কী হবে সে বিষয়ে ১৫ বছর মেয়াদে আলোচনার একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে ইউক্রেন বলেছে, শুধুমাত্র সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির কার্যকর হলে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে।