পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বিরোধী দলগুলোকে এ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাবের ৩ এপ্রিল পার্লামেন্ট ভোট হবে। এর আগেই বৃহস্পতিবার তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ইমরান তার ভাষণে দাবি করেন, বিদেশি রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিরোধী দলগুলোর কাছে গোপন চিঠি লিখেছিল। এই চিঠির একটি কপি তার সরকারের হাতে এসে পৌঁছেছে। ভাষণের এক পর্যায়ে মুখ ফস্কে ওই বিদেশি রাষ্ট্রের নাম বলে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খান বলেন, ‘আমি আজ এখানে এসেছি কারণ ৭ বা ৮ মার্চ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র … মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয় … আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। একটি স্বাধীন দেশের জন্য, এই ধরনের বার্তা (শুধুমাত্র) বরং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘সে সময় অনাস্থা প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয়নি। এর মানে হল যে, তারা (বিরোধীরা) বিদেশে এই লোকদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রতি তারা ক্ষুব্ধ। … তারা এই অজুহাত তৈরি করেছিল। তারা জানিয়েছে, ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে তারা পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেবে, কিন্তু যদি পদক্ষেপ ব্যর্থ হয় তবে পাকিস্তানকে একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
ইমরান খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল ‘ইমরান খান যদি প্রধানমন্ত্রী থাকেন তবে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আপনারা সমস্যায় পড়বেন।’
রাশিয়ার পক্ষে যাওয়াতেই তাকে ক্ষমতাচ্যুতের ষড়যন্ত্র করা হয় দাবি করে পাকপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ আমার জাতিকে বলছি, এই হলো আমাদের অবস্থা। আমরা ২২ কোটি মানুষের একটি জাতি এবং অন্য একটি দেশ – এবং কোনো কারণ ছাড়া হুমকি দিচ্ছে। তারা বলেছে, পররাষ্ট্র দপ্তর ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শের পর ইমরান খান রাশিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের জানিয়েছিলেন রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্তটি পরামর্শের পরে নেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা মানতে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে , এটি শুধুমাত্র ইমরান খানের কারণে হয়েছে এবং তিনি থাকলে আমাদের সম্পর্ক ভাল হতে পারে না। তারা আসলে যা বলছে তা হচ্ছে, ইমরান খানের পরিবর্তে যে কেউ ক্ষমতায় গেলে তাদের সমস্যা নেই।’