ইরাকে দুই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ওদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল। প্রাথমিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে, ওই বিমানঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন প্রেসিডেন্ট।’
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক মিসাইল’ ছুড়েছে ইরান। পেন্টাগনের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ছোড়া হয়েছে।
মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেসটিভি এক টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছে, একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনো হামলা চালায়, তবে আরও কঠোর প্রত্যাঘাত করা হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেই সব মিত্রদের সতর্ক করছি, যারা এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। যেসব অঞ্চল বা এলাকা থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।’
গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য মার্কিন সেনারা প্রস্তুত।