ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীর গতি থাকলেও মার্চে তা বেড়েছে। মার্চ মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার।
রোববার (৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সারা বছরের মধ্যে দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। ঈদকে সামনে রেখে দেশে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ছে। নগদ টাকার যোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীদের এই অর্থে দেশে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনরা রমজান ও ঈদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসেও রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা আছে।
তারা আরো জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এতে তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে, প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ এবং মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছরের জুলাই থেকে গত মার্চ পর্যন্ত মোট ৯ মাসের মধ্যে ৬ মাসই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে, বেড়েছে ৩ মাস। চলতি মাসেও রেমিট্যান্স বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
আগের অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ, আগস্টে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ, অক্টোবরে ২১০ কোটি ২১ লাখ, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ, ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি, জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ৫ লাখ এবং মার্চে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার।