ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চরম ডানপন্থী দলের প্রার্থী ম্যারিন লি পেন জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে মুসলিম নারীদের হিজাব পরার ওপর জরিমানা আরোপ করা হবে। আরটিএল রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগামী ১০ এপ্রিল প্রথম দফায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারবেন না। আগামী ২৪ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই নির্বাচনী জরিপে প্রাথমিক পর্যায়ে লি পেনকে দ্বিতীয় স্থানে দেখানো হয়েছে। সেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান মাত্র ৬ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ম্যাক্রোঁর সাথে তার ব্যবধান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও লি পেন অল্প ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার সেই ব্যবধান আরও কমছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
আরটিএল রেডিওকে লি পেন বলেন, গাড়িতে সিটবেল্ট পরার আইনটি যেভাবে পুলিশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা হয়েছে তেমনি প্রকাশ্যে হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টিও কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে একইভাবে জরিমানা করা হবে যেভাবে আপনার সিট বেল্ট না পরা বেআইনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে পুলিশ এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে অনেক বেশি সক্ষম।’
চরম ডানপন্থী এই নেতা জানান, বৈষম্যমূলক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার লঙ্ঘনের অভিযোগে তার প্রস্তাবিত আইনের সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ এড়াতে গণভোটের ব্যবস্থা করবেন তিনি।