ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিজেদের দায় প্রথমে অস্বীকার করেছিল ইরান। ঘটনার তিনদিন পর দায় স্বীকার করে তারা। এ মিথ্যাচারের প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইরানের ক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইরানের রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ মানুষ। অন্তত দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হলেও বিকেলের দিকে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন। ইরানের শীর্ষ নেতা খামেনির পদত্যাগ দাবি করে ‘মিথ্যাবাদীদের মৃত্যু’ চেয়ে স্লোগান দেন তারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ‘অনুপ্রেরণাদায়ী’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইংরেজি ও ফারসি উভয় ভাষায় লেখা টুইটে ট্রাম্প বলেন, সাহসী ও নিপীড়িত ইরানিদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, প্রেসেডেন্সির শুরু থেকেই আমি ইরানিদের সঙ্গে রয়েছি। আমার সরকার ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকবে। আপনাদের বিক্ষোভ আমরা নিবিড়ভাবে লক্ষ করছি। আপনাদের সাহস অনুপ্রেরণাদায়ী।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) তেহরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (ফ্লাইট- পিএস৭৫২) বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহী প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ৮৮ ইরানি, ৬৩ কানাডিয়ান, ৯ ইউক্রেনীয়, ৪ আফগান, ৪ ব্রিটিশ ও ৩ জার্মান ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ইরানের দিকে উঠলেও তারা তা অস্বীকার করে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর শনিবার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে ইউক্রেনের প্লেন।