বিদেশি ঋণের অর্থ পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে সাময়িকভাবে কোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রয়টার্স এমন তথ্য জানিয়েছে।
গত দুই বছরে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গেছে। সরকারের কর হার কমানোর অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং করোনা মহামারির কারণে পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতির বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল ওয়েরাসিংহে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের অত্যাবশ্যকীয় আমদানির উপর নজর দিতে হবে এবং বৈদেশিক ঋণ প্রদানের বিষয়ে চিন্তা যাবে না। এটা এমন এক পর্যায়ে এসেছে যে ঋণ পরিশোধ করা এখন চ্যালেঞ্জিং ও অসম্ভব।’
ওয়েরাসিংহে জানান, ঋণদাতা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে ঋণ প্রকল্পের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে না আসা পর্যন্ত অর্থ প্রদান স্থগিত রাখা হবে। জরুরি ঋণের জন্য সোমবার আইএমএফের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা।
চলতি বছর শ্রীলঙ্কার ৪০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক ঋণ বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক বন্ড রয়েছে। চলতি জুলাইয়ে এই বন্ডের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার কথা।