মহামারি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট আগের সংক্রমণের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে শরীরের অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এতে করোনা মহামারির নতুন তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যারা করোনার টিকা নিয়েছে তাদের রক্তে খুব সহজে মিশতে পারে না সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্স এমন তথ্য জানিয়েছে।
গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টকে পর্যবেক্ষণের তালিকায় রাখেন। এতোদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টকে পরীক্ষা করছিলেন। গবেষকরা এর জন্য ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। এদের মধ্যে ১৫ জন টিকাপ্রাপ্ত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘টিকা পাওয়া গ্রুপটি প্রায় পাঁচ গুণ বেশি নিরপেক্ষকরণ ক্ষমতা দেখিয়েছে … এবং আরও ভালভাবে সুরক্ষা দেওয়া উচিত।’
টিকাবিহীন নমুনাগুলোতে দেখা গেছে বিএ.৪ ও বিএ.৫ এর সংস্পর্শে এলে ওমিক্রনের মূল ভ্যারিয়েন্টের তুলেনায় অ্যান্টিবডি উৎপাদন প্রায় আট গুণ হ্রাস পায়। আর টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের রক্তে অ্যান্টিবডি উৎপাদন তিনগুণ কমেছে।
শুক্রবার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রত্যাশিত সময়ের আগেই করোনা মহামারির পঞ্চম তরঙ্গ শুরু হতে পারে। তারা সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিএ.৪ ও বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটিকে দায়ী করেছেন।