‘আই য়েট। বিলিভ মি। আই ওয়াজ নট হাংগ্রি দ্যাট মাচ।’
এনিওয়ে, আমি দেখছি ব্যপারটা। বলে হেলিমকে কল দেই। বলি, দ্যাখেন মেয়েটা সারাদিন না খেয়ে বসে আছে। আসার সময় কিছু খাবার নিয়ে আসবেন তো!
শুধায় একেবারে রাতের খাবার আনবে কিনা। একটু ভেবে বলি, এই বিকালে ডিনার করলে তো চলবে না। এখন নাশতা জাতীয় কিছু আনেন। রাতে পাঞ্জাব রেস্টুরেন্ট থেকে আনা যাবে ওর পছন্দমতো।
‘ওকে, আমি আইতাছি’ বলে হেলিম ফোন রাখে। একটু অপরাধির চোখে তাকায় নিশা। তারপর বলে, তুমি কি আমার ওপর রাগ করেছো?
হেসে ফেলি। বলি, এ দফা করিনি। তবে পরেরবার যদি কথা না শোনো ক্ষমা করা হবে না। অবশ্যই রাগ করবো। ওকে? কখনো আমার জন্য অপেক্ষা করবে না।
তাকায় চোখের দিকে। আমি প্রসঙ্গ পাল্টাতে গিয়ে থেমে যাই ওর চোখে চোখ পড়ায়। কিছু বলা হয়না। একদৃস্টিতে তাকিয়ে দেখছে আমাকে। চোখের কোনদু’টো চিক চিক করে ওঠে এ সময়। তারপর একটু ভেজা গলায় বলে, আমি আমার ভগবানের জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করতে পারি।
আমিও একটু উদ্বেলিত হয়ে যাই ওর কন্ঠে। সামলে নিয়ে বলি, শোন, ভগবান কখনো কারো জন্য বা কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করে না। কাজেই তুমিও ভগবানের অপেক্ষায় না থেকে সময়ের কাজ সময়ে করে নেবে। ঠিক আছে?
কোন কথা বলেনা। শাড়ির আচল দিয়ে চোখের কোন মোছে। এবার লক্ষ্য করি কাল থেকে সেই শাড়িটাই পরে আছে। বলি, গোসল করেছো না তার জন্যও ভগবানের অপেক্ষায় আছো!
লজ্জায় একটু রাঙ্গা হয় মুখটা। হেসে বলে, গোসল করেছি।
দ্যাটস্ এ গুড গার্ল। তো কাপড় পাল্টাওনি কেন!
জবাব দেয়না। একটু ইতস্তত করতে থাকে। প্রশ্নটা করে আমিও একটু অপ্রস্তুত হয়ে যাই। তাইতো, পাল্টে পড়বে কি! ওর সব কাপড়চোপর তো ও রুমে। সকালে গেলাম, আনা উচিত ছিলো। অবশ্য মহিলা দিতো কিনা সন্দেহ, তারপরও কিছু তো আনা যেতো। আচ্ছা, না দিলে আমারও তো উচিত ছিলো ফেরার পথে অন্তত দুই একটা ঘরে পরার জামা কিনে আনা। যাই হোক, আজকের রাতটা যাক। কাল কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।
বলি, আমার একটা লুঙ্গি আর শার্ট পড়তে পারতে! ওগুলো ফ্রেশ। শুনে আবার নীচের দিকে তাকায়। বলে চলি, কাল রাত থেকে একই শাড়ি পরে আছো, এটা ভালো দেখায় না।
কিছুই বলেনা এ কথায়। একটু চুপ থেকে শুধায়, মহিলার সাথে কথা বলে আমার কি মনে হলো। দিয়ে দেবে কি ডকুমেন্ট।
বলি, এখনো বুঝতে পারছি না। তবে ঘাগু মহিলা। তার পক্ষের সবগুলো অপশনই ট্রাই করবে। তবে এটা বোঝা গেলো সে তার টাকাটার ব্যপারে ভীষণ চিন্তায় পরে গেছে।
আমি তো বলেছি যেভাবেই হোক দিয়ে দেবো।
কিন্তু সে তা বিশ্বাষ করে না। যাই হোক কাল পর্যন্ত দেখি। যদি ভালোয় ভালোয় দিয়ে দেয়, শুক্রবারের ফ্লাইটে ফিরতে পারবে।
বেশ খুশী হয়ে যায়। বলে, শুক্রবারেই যেতে পারবো!
হ্যাঁ। সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট ড্রাগনের। মঙ্গল শুক্র রবি। কাল পেলেও কালকের ফ্লাইট তো ধরতে পারছো না। নেক্সট এ্যভেইলেবল ফ্লাইট হচ্ছে শুক্রবার।
আর যদি না দেয়?
সেক্ষেত্রে কোন দিনক্ষন বলা যাবে না। নির্ভর করছে কত দিনে পাসপোর্ট টিকেট রি-ইস্যু করানো যাবে তার ওপর। শুধাই, তখন ফোনে মহিলা কি বললো।
বলে, প্রধানত গালাগালি। তারপর ধমক, শেষে থ্রেট।
কি ধরনের থ্রেট?
বলে সে আমাকে আমার এলাকা পাত্তাবিরামে রুইন্ড করে দেবে। পরিবার সমাজে সম্মান হারাবো। বাসায় ফোন করে জানাবে আমি তার কথা না শুনে একটা লোকের সাথে চলে গেছি। গার্মেন্টসয়ে চাকরি না করে প্রস্টিটিউশন করছি।
তুমি কি মনে করো তা সে করতে পারে?
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.