নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে পারলে ১০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব। তবে, ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের।’
সোমবার (৯ মে) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ, আমরা কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় নির্বাচন অনেক দূরে। ফলে, এ বিষয়ে (ইভিএম) এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের এখন যে ইভিএম আছে, তাতে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৩০ আসনে ভালোভাবে ভোট করতে পারব। এর চেয়ে বেশি আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব না।’
নি বলেন, ‘ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মতামত দিয়েছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি। পাশের দেশ ভারতে সম্পূর্ণ নির্বাচন ইভিএমে হয়। তারা কিভাবে সফল হলো? তারা নিশ্চয় একটা সিস্টেমের মাধ্যমে সফল হয়েছে। ওগুলোই আমরা স্টাডি করছি। তারা যেগুলো করেছে, আমরা সেগুলো এখানে করতে পারি কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আইন অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ভারত যেমন অবিশ্বাসের জায়গা থেকে বিশ্বাসের জায়গায় এসেছে, আমরাও সেভাবে চেষ্টা করব। তাহলে সবার কাছে ইভিএম গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমাদের ইভিএম ভারতের ইভিএমের চেয়ে অনেক আপডেট এবং মানের দিকেও অনেক উন্নত।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের সভায় ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইভিএম নিয়ে তারা কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেবে। এখনও আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো ফরমাল বা ইনফরমাল প্রস্তাব আসেনি। তারা প্রস্তাব দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। তবে, বলে রাখা ভালো, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব আসার সুযোগ নেই।’