অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভারতের আসাম রাজ্যে ৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে রাজ্যটির ২০ জেলার দুই লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) ভারত সরকারের এক বুলেটিনে একথা জানানো হয়েছে।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানায়, ছাচাড় জেলায় বন্যার কারণে দুই জনের মৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধসের কারণে দিমা হাসাওতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাকিরা অন্যত্র মারা গেছেন।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, রাজ্যের হোজাই জেলায় ৭৮ হাজার ১৫৭ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই রয়েছে ছাচাড় জেলার অবস্থান। সেখানে ৫১ হাজার ৩৫৭ জন মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া ওই জেলার ১৬ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার রাস্তা এবং সেতু সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বিমান বাহিনীর সহায়তায় দুটি ট্রেন থেকে ২ হাজার ৮০০ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। গত দুই দিন ধরে ট্রেন দুটি দিমা হাসাওয়ের লুমডিং-বদরপুর সেকশনে আটকে ছিল।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামতের কাজ চলছে বলে প্রায় ১৮টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ডিমা হাসাওতে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৩২ হাজার ৯৫৯ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসকে বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।