সংকটময় পরিস্থিতিতে আটকেপড়াসহ সব অভিবাসীদের জীবন রক্ষা এবং ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সাধারণ বিতর্ক পর্বে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
শুক্রবার (২০ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কোনো পরিস্থিতিতে যাতে অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানো না হয়, সে বিষয়ে ট্রানজিট এবং গন্তব্যের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
জলবায়ুজনিত অভিবাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন বা খরার কারণে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।’
শাহরিয়ার আলম সমুদ্রে দুর্দশায় পতিত অভিবাসীদের অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যে বাধ্যবাধকতা আছে, তা পূরণ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সাধারণ বিতর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী সমুদ্র উপকূল থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ডোমিনিকার পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ড. ভিন্স হেন্ডারসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
একটি অগ্রগতি ঘোষণা গ্রহণের মাধ্যমে ফোরামটি আজ ২০ মে শেষ হচ্ছে।