‘রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ’ এর আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করতে ৪০ জনের সৌদি দল ২ জুনের আগে ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে, তারা নির্ধারিত সময়ে আসতে পারছেন না। ফলে, প্রথম হজ ফ্লাইটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় ২০২২ সালের পবিত্র হজে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদিগামী শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সোমবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়নকারী সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এসে জানান যে, রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের জন্য ৪০ জনের সৌদি টিম আগামী ২ জুনের আগে ঢাকায় এসে পৌঁছাতে পারবে না। প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস এখনো ঢাকায় পৌঁছায়নি। এসব ডিভাইস সৌদি টিমের সঙ্গে ঢাকায় আসবে। যন্ত্রপাতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইনস্টল করতে কিছু সময় লাগবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৩১ মে‘ র প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু করা হলে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সৌদি-বাংলাদেশ হজচুক্তি অনুসারে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে হজে গমনকারী বাংলাদেশের সব হজযাত্রী ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটে সৌদি আরব গমন করবেন এবং একই সাথে ঢাকায় তাদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এ অবস্থায় ৩১ তারিখের পরিবর্তে আগামী ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে।’
হজের প্রথম ফ্লাইট পিছিয়ে দেওয়া হলেও শেষ হজ ফ্লাইট ঠিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘শেষ হজ ফ্লাইট ঠিক থাকবে। এটা নিয়ে সমস্যা নেই। একটা ফ্লাইটে এতকিছু ঘটবে না। এটা মাত্র ৪১৫ জনের বিষয়। বিমান মন্ত্রণালয়ও প্রস্তুত। অসুবিধা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না।’