স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত থেকে যেসব রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করছে; তাদের পুনরায় পুশব্যাক করা হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ দমনে আরো বেশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের টহল জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হবে। এরপরও অপরাধ দমন করা না গেলে ক্যাম্পে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত নির্বাহী কমিটির ১৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ক্যাম্পে যারা আছে, তারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে যথেষ্ট নজরদারি রাখা হবে। বর্তমানে যে এপিবিএন সেখানে কাজ করছে তা আরো বাড়ানো হবে। প্রয়োজনে বিজিবি, র্যাব এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে এদেশে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে তাদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণে তাদের সচেতন করার বিষয়টি সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালোভাবে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে যেতে না পারে এবং ভেতরে তাদের মাদক কারবার ও অপরাধ কর্মকাণ্ড তদারকির জন্য ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়াও সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমদ, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দুই দিনের সফরে কক্সবাজার আসেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রাঙ্গামাটি থেকে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তাপস রক্ষিতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিজিবি কক্সবাজার রিজিওনের বাৎসরিক মাদকদ্রব্য (মালিকবিহীন) ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।