যৌন কর্মীদের স্বীকৃতি দিয়ে ভারতীয় পুলিশকে সতর্ক করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, যারা স্বেচ্ছায় যৌন পেশায় জড়িত তাদের কোনওভাবে হেনস্থা, আটক কিংবা জরিমানা করা অবৈধ। তবে শুধু পতিতাপল্লী পরিচালনা করা বেআইনি। শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিআর গাভাই এবং এএস বোপান্নার একটি বেঞ্চ যৌনকর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য ৬টি নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে, যৌনকর্মীরাও আইনের অধীনে সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যৌনপল্লীতে তল্লাশি চালানোর সময়ে কোনও যৌন কর্মীকে হেনস্থা করা, জরিমানা করা যাবে না। যেহেতু স্বেচ্ছায় যৌন পেশা কোনও অপরাধ নয়, ফলে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। যৌন কর্মীদের আইনের চোখে সমান রক্ষাকবচ রয়েছে। বয়স ও ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে সবার জন্য় সব মামলায় সমানভাবে ফৌজদারী আইন কার্যকর হবে।
আদালত বলেছে, ‘যখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট যৌন কর্মী একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছায় এই পেশায় এসেছেন, তখন পুলিশকে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
আদালতের আরও নির্দেশ, শিশু যৌন কর্মীর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যৌন পেশায় থাকার কারণেই তার মায়ের থেকে আলাদা করা যাবে না। যৌনকর্মী এবং তাদের সন্তানদেরও মৌলিক সুরক্ষা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে। যদি কোনও নাবালককে কোনও পতিতালয়ে বসবাস করতে দেখা যায়, অথবা কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে বসবাস করতে দেখা যায়, তাহলে এটা বিবেচনা করা উচিত নয় যে শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।
আদালত প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারি করার জন্য আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে যৌনকর্মীদের পরিচয়, অভিযুক্ত, গ্রেফতার, অভিযান বা অন্য কোনও প্রচারের সময় প্রকাশ না হয়। এছাড়া এমন কোনও ছবি সম্প্রচার করা উচিত নয়, যাতে তার পরিচয় প্রকাশ পায়।