কমে যাওয়া জন্মহার, মৃত্যুর হার বৃদ্ধি এবং অভিবাসন কমে যাওয়ায় জনসংখ্যা হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছে রাশিয়া। রোববার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি জনসংখ্যাবিদ লরেন্ট চালার্ড জানিয়েছেন, সবচেয়ে উৎসাহব্যঞ্জক সন্তান জন্মদান নীতি চালু করা সত্ত্বেও রাশিয়ার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পাচ্ছে।
অথচ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিশ্বাস করেন যে, জনসংখ্যা ক্ষমতার সমার্থক।
রাশিয়ার জনসংখ্যা গত ৩০ বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। জনসংখ্যার এই হ্রাস প্রবণতা ১৯৯১ সাল থেকে চলছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটার ওই সময়টিতে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৮২ লাখ। করোনা মহামারিতে দেশটিতে মারা গেছে বহু মানুষ। এছাড়া সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধেও রাশিয়া বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যকে হারিয়েছে।
রাশিয়ার পরিসংখ্যান সংস্থা রোসস্ট্যাটের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৬১ লাখে নেমে এসেছে। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হল দেশটির জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা ১৩ থেকে ১৪ কোটির মধ্যে গিয়ে পৌঁছাবে।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক স্টাডিজের জনসংখ্যাবিদ অ্যালাইন ব্লুম বলেছেন, ‘রাশিয়া ৯০ এর দশকের মাশুল টানছে। ওই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটেছিল, দেশটি একটি গুরুতর জনসংখ্যাগত সংকটে পড়েছিল। প্রথমবারের মতো, রাশিয়ার মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে জন্মহারকে ছাড়িয়ে গেছে, যার ফলে এর জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আজ, সন্তান জন্মদানের বয়সী মানুষরা ওই সময়ে জন্মগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য তাদের সংখ্যা যথেষ্ট নয়।’