ইন্দোনেশিয়ার বাদুংয়ে বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইন্দোনেশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে দারুণ খেলে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। যা তিন যুগেরও বেশি সময় (৩৭ বছর) পর পাওয়া ড্র। এর আগে সবশেষ ১৯৮৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
অবশ্য এই ড্র বাংলাদেশের জন্য জয়ের সমান। প্রথমত, ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের ছয়জন খেলোয়াড়কে পাননি কোচ জাভিয়ের কাবরেরা। দ্বিতীয়ত, র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া (বাংলাদেশ ১৮৮, ইন্দোনেশিয়া ১৫৯)। তাদের বিপক্ষে, তাদেরই ঘরের মাঠে, ৩৭ বছর পর পাওয়া ড্র তো জয়েরই সমান।
তাছাড়া ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এটা ছিল সব মিলিয়ে সপ্তম ম্যাচ। তার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১টিতে, ইন্দোনেশিয়া ৪টিতে, ২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সবশেষ ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। মারদেকা কাপে সেবার বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল লাল-সাদা জার্সিধারীরা।
এমন ড্রয়ে বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তিনি নিশ্চিত বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া রক্ষণভাগে দারুণ খেলেছেন ইয়াসিন আরাফাত, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ ও টুটুল হোসেনরা।
এই ড্র নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলকে দারুণ উজ্জীবিত করবে ৮ জুন থেকে মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের লড়াইয়ের জন্য। এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বাহরাইন, মালয়েশিয়া ও তুর্কেমেনিস্তান।