একবার ভাবুন তো, বাংলাদেশের কেউ ইংল্যান্ডের জার্সিতে ক্রিকেটের পুণ্যভূমি লর্ডসের মাঠে খেলছেন! বিষয়টি নিশ্চয়ই বাংলাদেশিদের জন্য গৌরবের। কল্পনা নয়, বাস্তবেই ঘটেছে এমনটা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বদলি ফিল্ডার হয়ে ফিল্ডিং করলেন রবিন দাস, যার শরীরে বইছে বাংলাদেশির রক্ত।
প্রথমে হ্যারি ব্রুক ও ক্রেইগ ওভারটন অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসাবে মাঠে ছিলেন। বাইরে ছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তারপর ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বল করেই ম্যাথু পটস হালকা চোট নিয়ে মাঠের বাইরে যান। তাতে তৃতীয় বদলি ফিল্ডার দরকার ছিল। এই ফাস্ট বোলারের বদলেই মাঠে নামেন রবিন। পটসের অসমাপ্ত ওভার শেষ করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। সেই ওভার শেষ হতেই মূল দলের ব্রড মাঠে ফিরলে রবিনকে উঠে যেতে হয়।
২০০২ সালে রবিনের জন্ম ইংল্যান্ডের লেটনস্টোনে, পৈতৃক নিবাস সিলেটের সুনামগঞ্জে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের বয়স ২০ বছর। ইংল্যান্ডের দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় এসেক্সের এই ক্রিকেটার লর্ডসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিং করেন। এসেক্সের মূল দলে একবারের বেশি খেলা হয়নি রবিনের। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অভিষেক হয় তার ভাইটালিটি ব্লাস্টে। সাসেক্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে করেছিলেন ৭ রান। এছাড়া এসেক্স দ্বিতীয় একাদশের হয়েও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। রবিনের বড় ভাই জোনাথন জয় দাসও ক্রিকেটার।
রবিনের সঙ্গে আরেক ক্রিকেটার নিখিল গোরান্টলাও এই টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায়। তাদের শুভ কামনা জানিয়ে এসেক্স ক্রিকেট টুইট করে, ‘লর্ডসে প্রথম টেস্টে ১২তম খেলোয়াড়ের দায়িত্ব পালনের জন্য নিখিল গোরান্টলা ও রবিন দাসকে শুভকামনা।’