এবার তাকাই ওর দিকে পূর্ন দৃষ্টিতে। স্মার্ট মেয়ে। জীবনে চলার পথের আর্টগুলো জানে। প্রসংশার কন্ঠে বলি ‘ইউ আর রাইট। থ্যাংক ইউ।’
মৃদু হেসে বলে ‘ইউ আর ওয়েলকাম।’
বলি, তবে এই আপন মনে করারও কতগুলো ডিগ্রি থাকে, তাই না! আমরা কোন পর্যন্ত নিয়ে যাবো সেটাও ঠিক করে নেয়া উচিত।
একটু চুপ থেকে বলে, এটা কোন ঠিক করাকরির ব্যপার কি! সম্পর্ক কি নিজেই তার স্থান করে নেয় না!
আমি আর কোন কথা বলি না। চুপ হয়ে যাই। ভাবনায় নুতন মাত্রা যোগ হলো। এ কথা বলেই বা কি বোঝালো! সম্পর্ক নিজেই তার স্থান করে নেয়! কি সম্পর্ক! আমার সাথে কোন সম্পর্ক কি গড়ে উঠেছে এর মধ্যে! চোখ বুজি। না, একজন আশ্রয়প্রার্থী ছাড়া তো আর কিছু ভাবিনি ওকে। দু’দিনের মেহমান। হ্যাঁ, মেহমানও আপন হতে পারে। এর বাইরে আর কি! এক সঙ্গে এক রুমে আছে বলে ঘরের বউ তো মনে করা যায় না! না, প্রেমিকা গার্লফেন্ড এসবও ভাবার কোন অর্থ হয়না। বন্ধু কি ভাবা যায়! হ্যাঁ, এটা চলতে পারে। কিন্তু কি ধরনের বন্ধু! ভাবতে নিজেই হেসে উঠি আপন মনে। বন্ধু তো বন্ধুই। তার আবার ধরন কি!
আচ্ছা শুধাবো কি, আপন মনে করার ব্যপারে ওই বা কি ভাবছে। কথাটা যখন বলেছে, নিশ্চয়ই একটা কিছু মাথায় এনেছে। জিজ্ঞেস করবো কি ওর আইডিয়াটা কি!
আমাকে বেশ খানিক্ষন চুপ থাকতে দেখে শুধায়, তুমি কি আবার টেনশনে পড়ে গেলে কোন কিছু নিয়ে!
সামলে নিয়ে বলি, নাতো!
তাহলে কি অত ভাবছো!
কথাটা ঘুড়িয়ে দেই। বলি, ভাবছি এভাবে জাগিয়ে রেখে তোমার ঘুম নষ্ট করছি কিনা।
চুপ হয়ে যায় এ কথায়। ছোট একটা শ্বাষ ছেড়ে বলে, তুমি কি এখন ঘুমাতে যেতে চাও?
বলি, না না, আমি সাধারনত: এত সকালে ঘুমাই না।
ক’টায়?
হেসে বলি, রাত একটার আগে না, দুইটার পরে না। ঘড়ি দেখে বলি, একটার এখনো বাকি আছে। তুমি যদি চাও-
হঠাৎ শশব্যস্ত হয়ে ওঠে ‘নো নো, নট নাও।’
‘হোয়েন দেন!’
‘উইথ ইউ।’
হেসে দেই। বলি, ‘ইউ গো শ্লিপ উইথ মি!’
বুঝতে পেরে অপ্রস্তুত হয়ে যায়। লজ্জায় মুখটা হালকা লাল হয়ে ওঠে। মাথা নীচু করে বলে, না না, আমি বলেছি তুমি যখন ঘুমাতে যাবে।
আমিও হেসে বলি, আমি জানি।
বলে চলে, আসলে আমার ইংলিশ ভালো না তো, তাই কথা ভালোমতো বোঝাতে পারি না।
তারপরও তুমি অনেকের চাইতে ভালো ইংরেজী বলো। আচ্ছা যদি কোথাও অসুবিধা হয়, মাঝে মাঝে হিন্দী বলো। তুমি তো কিছু জানো হিন্দী তাই না?
আমাকে শুধায়, তুমি জানো?
থোড়া থোড়া।
মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে। তারপর বলে ‘লিটল লিটল, রাইট?’
‘ইয়েস।’
তাহলে কিছু বুঝবো। যেটা না বুঝবো তুমি বুঝিয়ে দিও! ওকে!
কি বলে মেয়ে! বললাম ইংরেজী আটকে গেলে হিন্দী বলতে। এখন আমাকেই বলছে হিন্দী যদি না বোঝে তাও তাকে বুঝিয়ে দিতে!
মাথা নেড়ে বলি, ওকে ওকে।
একটু খুশী হয়ে বলে, তাহলে আমি কিছু কিছু হিন্দী শিখে যাবো।
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.