কিন্তু আমার যে ভয় করছে।
হেসে দেই। বলি, ভয় করবে কেন! আমি আছি না সঙ্গে।
সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, ও হ্যাঁ তাইতো। তুমি তো সঙ্গে থাকছো।
খেয়েছো?
হ্যাঁ।
নীচের রেস্টুরেন্টে অর্ডার করেছিলে?
এবার হেসে দেয়। বলে, তোমাকে রাগ করতে হবে না। রেস্টুরেন্ট থেকেই খাবার আনিয়েছি।
দ্যাটস্ এ গুড গার্ল। কি করছিলে?
চুপ হয়ে যায়। একটুপর আস্তে করে বলে, একা ফীল করছিলাম।
আমিও চুপ হয়ে যাই। কি বোঝালো কথাটা বলে! সে তো একাই। তা ভিন্নভাবে ফিল করার কি আছে!
বলে, তুমি কি এখনই আসবে?
হ্যাঁ।
তাহলে তাড়াতাড়ি আসো।
আমি শুধু অষ্ফুটে ‘ওকে, বাই’ বলি। ওপাশ থেকে বাই বলে ফোন রাখে নিশা। কেমন যেন একটু আচ্ছন্নতার মধ্যে পড়ে রই খানিকক্ষন । হেলিম গেছে পাশে ওর ডরমিটরিতে। আমি সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করি। ভেসে ওঠে নিশার মুখটা। ভাবতে ভালো লাগছিলো আমার অনুপস্থিতিতে ওর একা লাগছিলো। তার মানে আমি সঙ্গে থাকলে ভালো লাগে। হ্যাঁ আমারও তো ভালো লাগে যতক্ষন থাকি ওর সান্নিধ্যে। এই যে চোখের সামনে ভেসে উঠলো মুখটা, কেমন যেন মনে হচ্ছে এখনই চলে যাই ওর কাছে।
হেলিম ফিরলো রাগে গজগজ করতে করতে। শালা গাধার বাচ্চারা, খ্যাতে থিক্যা উইঠ্যাই কয় বিদ্যাশ যামু। আরে ব্যাটারা বিদ্যাশ যাবি তো বিদ্যাশের নিয়ম কানুনগুলা তো মানবি! এইটা কি বাংলাদেশ যে খ্যাতে যাইয়া বইয়া পড়লেই হইলো!
ঘটনা হচ্ছে ডরমিটরির এক ছেলে প্রায়ই বাথরুম করে ফ্লাশ করে না। এই নিয়ে সেখানে গন্ডগোল। হেলিম ছেলেটাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে এসেছে। বিড়বিড় করতে করতেই ফ্রিজ খুলে একটা বিয়ারের ক্যান বের করে খোলে। চুমুক দিয়ে বলে, কথা অইছে ম্যাডামের লগে?
বলি, হ্যা।
কি কয়?
কিছু না। অপেক্ষা করছে।
তো চলেন যাই। কয়টা বাজে?
ঘড়ি দেখি, প্রায় ছয়টা।
কয়টায় যাওয়ার কথা?
এই তো এই সময়েই।
তাইলে উঠেন। বলে এক চুমুকে বিয়ারের অর্দ্ধেক সাবাড় করে। আমিও উঠি। হেলিম মনে করিয়ে দেয় আজ রাতে রউফ সাহেবের ডিনার করানোর কথা।
ভুলেই গেছিলাম। আসলে মদের আসরের প্রগ্রাম, এগুলো মনে থাকার কথাও নয়। একটু হেসে বলি, কোথায় সে। সারাদিন কথা হলো না, একটা কল দেন তো।
হেলিম বলে সকালে তার সাথে কথা হয়েছে। জানতে চেয়েছে আমার সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা, তাকে আসতে হবে কিনা। বিকেলে রুমেই থাকবে, কল দিলে চলে আসবে। হেলিম শুধায় তাকেও সঙ্গে নিয়ে নেবো কিনা।
বলি অত গ্যাঞ্জাম দরকার নাই। মহিলা এমনিই নরম হয়ে গেছে। একটু গড়ম দেখাচ্ছে। আমার ধারনা গেলেই কাজ হয়ে যাবে। অত ভাবসাব আর লাগবে না।
বের হয়ে আসি চুংকিং থেকে আমরা। রুমে নিশাকে মোটামুটি রেডিই পাই। রেডি আর কি, ওর শাড়িটা পরেছে। কিছুক্ষনের মধ্যে তিনজন এসে পৌছি মহিলার রুমের সামনে।
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.