পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে ব্রিটিশ মন্ত্রী ও এমপিদের মধ্যে। মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৩১ জন মন্ত্রী ও তাদের সহযোগী পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ ঘটনায় ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর।
যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস্টোফার পিনচারকে তার সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন দুঃখ প্রকাশ করার পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে শিশু ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী এবং জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর একে একে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী জুলিয়া লোপেজ, বাণিজ্যমন্ত্রী লি রাউলি একজন, শিক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্স বারগার্ট, সমতা বিষয়ক মন্ত্রী নিল ও’ব্রায়েন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কেমি বাদেনোচ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী র্যাচেল ম্যাকলিন, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী র্যাচেল ম্যাকলিন।
এতো মন্ত্রী-এমপির পদত্যাগের ফলে জনসনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি কনজারভেটিভ সরকারের সঙ্কট আরো গভীর হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানাতে শুরু করছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। তবে বুধবার এসব আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন জনসন।
তিনি সাফ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।