১০০তম দিনে গড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ এবং প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে এরপরও বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরছে না। তারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগ দাবি করছে।
সরকারের আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে ভয়াবহ সঙ্কটের কবলে পড়ে শ্রীলঙ্কা। রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশটি জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমাদানি করতে পারছে না। গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে মে মাসে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে। তবে বিক্ষোভকারীরা এতে শান্ত হয়নি। গত সপ্তাহে তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া গোপনে দেশত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার তিনি সিঙ্গাপুর থেকে ইমেইলের মাধ্যমে পার্লামেন্টে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
তবে বিক্ষোভকারীরা এবার তাদের নজর প্রেসিডেন্ট রনিলের ওপর দিয়েছে। কারণ তাকে শ্রীলঙ্কার দীর্ঘসময়ের শাসক রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বলে মনে করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন, মাঠে নিজের পক্ষে পাশার দান চালবেন রনিল। সম্ভবত রাজাপাকসের ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট পার্টির সমর্থনে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাবেন।
অঞ্জলি ওয়ান্দুরাগালা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন,এমনকি রাজাপাকসেদেরও, কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। এটা ভাবা অযৌক্তিক যে লোকেরা আবার তাকে বিশ্বাস করবে।’
বিক্ষোভকারীদের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা এখন রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামতে বিক্ষোভে জড়িত দলগুলোর সাথে আলোচনা করছি।’