স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্ন দেখাতে হয়। মেহেদী হাসান মিরাজ সেই স্বপ্নই দেখালেন, ‘আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব, বিশ্বকাপ জিতব।’ জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার সেই দলে যারা স্বপ্ন দেখেন বড় কিছু করার, স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলেন। অদম্য জেদ আর স্বপ্ন পূরণের ঐকান্তিক ইচ্ছা তাকে করে তুলেছে আলাদা।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে মিরাজ দেশে ফিরেছেন বুধবার (২০ জুলাই) বিকেল পাঁচটায়। সঙ্গে ছিলেন একমাত্র সতীর্থ তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ছেলেকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গেলেও মিরাজকে ক্যামেরার সামনে হাজির হতে হয়। পুরো দলের মতো এই সফর তার কাছে ছিল অম্লমধুর। টেস্ট সিরিজে বাজে হার আর ওয়ানডেতে অপ্রতিরোধ্য।
৩-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেই স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ভালো করার রহস্য মিরাজ গোপন রাখলেন না, ‘ওয়ানডেতে আমরা কমফোর্টেবল। সব সময়ই ভালো ক্রিকেট খেলি। ৪/৫ বছর ধরে ভালো ফল করে আসছি। যে জিনিসটা সফলতা পাই অবশ্যই ওই জিনিসটায় সবাই বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে।’
এই আত্মবিশ্বাসের জোরেই মিরাজ বিশ্বাস করেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২/৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমরা যেভাবে প্রক্রিয়ায় আছি এভাবে আগালে আমাদের সামনের বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে।’
দলীয় শক্তিতেই বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা থাকবে বলে বিশ্বাস করেন এই স্পিন অলরাউন্ডার, ‘আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকবে। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি, মোস্তাফিজ, লিটনরাও খেলেছে। আমরা যারা আছি তাদেরও পাঁচ বছর ক্যারিয়ার হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক। মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
শেষ বিশ্বকাপে সাকিব একাই ছিলেন অতিমানবীয়। ভালো করেছেন মুশফিকুর রহিমও। লিটনও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। মোস্তাফিজও ছিলেন ধ্রুপদী। তবে দলগতভাবে বাংলাদেশ ভালো না করায় বাংলাদেশের সাফল্য বড় হয়নি। মিরাজ মনে করেন, সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তার ভাষ্য, ‘অবশ্যই আমাদের সবারই দায়িত্ব। বিশ্বকাপে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে, দেশের জন্যও ভালো হবে। আপনি বলতে পারেন না যে, আমরা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হব। আমরা চেষ্টা করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। কীভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায় সেই পথ বের করতে পারি। এটা ভাগ্যেরও বিষয়। তবে আমাদের স্বপ্ন আছে বিশ্বকাপ জেতার, এশিয়া কাপ জেতার।’