স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, একটি গোষ্ঠী দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা এক যুবকের ফেসবুকের পোস্ট দেখে আবেগের বশীভূত হয়ে এ প্রচেষ্টা চালায়। তবে তাদের সেই পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ইমোশনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল ওই চিহ্নিত গোষ্ঠী। মাঝে মাঝে যেকোনও ভাবে দু’একটি উক্তি চলে আসে। এগুলোকে পুঁজি করে ইমোশনালভাবে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। আর ইমোশন কাজে লাগানোর জন্য একটি গোষ্ঠী সবসময় মরিয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, নড়াইলসহ এর আগেও কিছু ঘটনা ঘটেছে। সবগুলোতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নড়াইলের ঘটনা যখনই ঘটেছে তখনই ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছেলেটির বাড়ি প্রটেকশনে ছিল এবং তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
আসাদুজ্জামান বলেন, ইমোশনাল কাজে লাগিয়ে যারা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় তারা সব জায়গাতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে একটি ছেলে। এতে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেটির বাড়ি প্রোটেকশন দেয় এবং যারা যারা ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে। নড়াইলের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘটনার চলছে তদন্ত। তদন্তের পরই বলা যাবে এ ঘটনায় কার কতখানি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমরা কাউকেই ছাড় দেব না। দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নড়াইলের দিঘলিয়ার সাহা পাড়ায় দুটি বাড়িতে ভাঙচুর, একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়। বাজারে তিনটি দোকানে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। চারটি মন্দিরে ওই সময় হামলার ঘটনাও ঘটে। পরে এ ঘটনায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে।