স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের কারণে বাংলাদেশ এখন ভিকটিম হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে তারা ততই আমাদের ওপরে বোঝা হয়ে দেখা দিচ্ছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।
‘জাতীয় পরামর্শক’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে বর্বর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে এসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব সে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কেননা আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের লালন-পালন কিংবা খাদ্য নিশ্চিত করা খুবই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মানবপাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। এ অপরাধ রোধে সরকার আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত মানবপাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে। মানবপাচার ইস্যুকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখে। এ কারণে কেউ যেন পাচারের শিকার না হয়। পাশাপাশি এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যথাযথভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চর্ড, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবাট ডিকসন ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।