গর্ভপাতকে নিরুৎসাহিত করবে চীন। জন্মহার বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে উর্বরতার চিকিত্সা সহজলভ্য করবে দেশটি। মঙ্গলবার বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসারে, কর, শিক্ষাবীমা এবং আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া স্থানীয় সরকারগুলোকে শিশুদের যত্ন পরিষেবা এবং পরিবার বান্ধব কর্মক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণে উৎসাহিত করা হবে৷
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ এবং চিকিৎসাগতভাবে প্রয়োজনীয় নয় এমন গর্ভপাত হ্রাসে তারা জনসচেতনতা বাড়াতে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রচার চালাবে।
২০২১ সালে চীনে নারীদের সন্তান জন্মদানের হার ছিল ১ দশমিক ১৬। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইডিসির হিসেবে, একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য এই হার ২ দশমিক ১ হওয়া উচিত। সেই হিসেবে চীনের ফার্টিলিটি রেট বা সন্তান জন্মদানের হার অনেক কম, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যাবিদরা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে চীনের আপোষহীন ‘শূন্য-কোভিড’ নীতি নাগরিকদের সন্তান ধারণের আকাঙ্ক্ষা আরও হ্রাস করতে পারে।
১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীনে চলতি বছর জন্ম হার রেকর্ড পরিমাণ কমতে যাচ্ছে। দেশটিতে গত বছর এক কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চলতি বছর এই সংখ্যা আরও কমে এক কোটির নিচে নামতে পারে।