বাংলাদেশ জাতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার শ্রীধরন শ্রীরাম। নিয়োগ পেয়েই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য তর সইছে না তার। তবে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, শ্রীরামের কাছে তার বেশি কিছু প্রত্যাশা নেই।
একটি কোম্পানির শো রুম উদ্বোধনে গিয়ে শনিবার বিকেলে (২০ আগস্ট) এই মন্তব্য করেন সাকিব, ‘আমরা মনে হয় না খুব বেশি কিছু এক্সপেক্ট করার আছে এখানে। যেহেতু তিনি (শ্রীরাম) অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে ৫ বছর ছিলেন, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে, তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপে কতটুকু কাজে আসবে বলাটা মুশকিল।’
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত শ্রীরাম বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করবেন। এশিয়া কাপ থেকে শুরু হবে তার মিশন। আগামীকাল রোববার তিনি ঢাকা আসবেন। ২২ আগস্ট বিসিবি সভাপতি কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানে শ্রীরামের দায়িত্ব চূড়ান্ত হবে।
সাকিব মনে করেন ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে বিসিবি সবার দায়িত্ব নিতে হবে, ‘আমি যেটা বললাম যে এখানে আমাদের সবার একটা দায়িত্ববোধ আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি, সমর্থক— সবাই যদি একসাথে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হয় যে একটা ভালো পথযাত্রা শুরু হবে।’
এদিকে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকা শ্রীরাম গতকাল বলেছেন, ‘আমি ২৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা এবং এলিট পর্যায়ে ৯ বছরের কোচিংয়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে আমি সত্যিই মুখিয়ে আছি।’
শুধু তাই নয়, সাদা বলে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই কোচ, ‘আমি বিশ্বাস করি সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দারুণ সম্ভাবনা আছে। বড় দুটি ইভেন্টে এমন প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ভেবে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
খেলোয়াড় জীবনে আলো ছড়াতে না পারলেও কোচ হিসেবে শ্রীরামের সিভি ভারি-ই বলতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ ছাড়াও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিভিন্ন দলের হয়ে কাজ করেছেন। তিনি সহকারী থাকা অবস্থায় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।