দক্ষিণ কোরিয়ায় এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজারেরও বেশি কর্মী যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আরও বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে আগ্রহী। কোভিডের পরিপ্রেক্ষিতে জনশক্তি প্রেরণ বন্ধ থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে আবার পাঠানো শুরু করেছি। চলতি বছর জানুয়ারি-আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজারেরও বেশি কর্মী গেছেন।
তিনি বলেন, এ বছর শেষে মোট ৪ হাজারেরও বেশি কর্মী যাবেন বলে আমরা আশা করছি। কোরিয়াতে এখন ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আছেন। কোরিয়ায় বাংলাদেশি জনশক্তি কম হলেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে কোরিয়া ১০ নম্বর অবস্থানে।
এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সফট লোন সহায়তা দিয়ে আসছে। এই সফট লোন দেওয়ার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হবে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামো, আইসিটি, অ্যানার্জি, পরিবেশ, শিক্ষা ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। আরও কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা চাইলে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার আগ্রহী হলে কোরিয়া বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা দিতে চায়। কোরিয়ায় ২৪টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। আরব আমিরাতে আমরা ইতোমধ্যেই ৪টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা দিয়েছি।
এছাড়া মিশর, চেক রিপাবলিকসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে আমরা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা দিচ্ছি।
আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ কোরিয়া ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প সহায়তাও রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সহায়তার মূল ফোকাস হচ্ছে প্রযুক্তি হস্তান্তর।’
উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজ হাইওয়েতে ইনটেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম স্থাপন করছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা। এই সিস্টেম কোরিয়ায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় ঢাকায় একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট আছে। এখন আমরা সিলেট ও খুলনায় আরও দুটি খোলার চিন্তা করছি।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।